
🕌আজকের বিষয় কাশ্মীরে অবস্থিত বেশ কয়েকটি বিখ্যাত মুঘল গার্ডেন। কাশ্মীর, আমার দেখা ভারতবর্ষের সবচেয়ে সুন্দর জায়গা। একদিকে সেই বিখ্যাত ডাল লেক আর তাকে বেষ্টনী করে আছে বেশ কয়েকটি মুঘল সুলতানদের তৈরি গার্ডেন। প্রত্যেকটি গার্ডেনের পিছনে আছে পর্বতমালা, সেই নৈসর্গিক দৃশ্য দেখার সৌভাগ্য আমার হয়েছিল এবং সত্যিই সেই অপরূপ দৃশ্য যে কি, তা লিখে বা বলে বোঝানো যাবে না। তবুও চেষ্টা করছি।
⛳প্রথমেই আসি,
🎄নিশাত বাগ ( Nishat Bagh):
--------------------------------------------
1633 খ্রিস্টাব্দে নূর জাহানের ভাই আসফ খান নিশাত বাগের নকশা তৈরি করেছিলেন। চিনার বলে একরকম গাছের ফুল, ঝরনা এবং প্রাকৃতিক দৃশ্য এই বাগানটিকে সুন্দর করে তুলেছে। এটি শ্রীনগরের সবচেয়ে সুন্দর টেরেস মুগল গার্ডেনের মধ্যে একটি। এটি কাশ্মীর উপত্যকায় দ্বিতীয় বৃহত্তম মুঘল গার্ডেন। গার্ডেনের ঠিক পিছনেই আছে বিখ্যাত 'পীর পাঞ্জাল পর্বতমালা'। শীতকালীন ফুলের সমারোহ এই বাগানের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ। গার্ডেনের কিছু ছবি দিয়ে সেই সৌন্দর্য্য কে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। এই গার্ডেন থেকে ডাল লেকের ভিউ অসাধারণ।
প্রত্যেক টি গার্ডেনেই আপনারা দেখতে পাবেন ঠিক মাঝখানে জলের স্রোত ও ঝর্ণা, কেননা মুঘলরা বিশ্বাস করতেন এইভাবে তৈরি গার্ডেন জন্নাতেও মানে স্বর্গেও আছে আর যেহেতু মুঘলদের পূর্বপুরুষ মরু অঞ্চলের ছিলেন, তাই জল ওনাদের কাছে খুবই ইম্পর্টেন্ট। সব কটি গার্ডেনেই দেখতে পাবেন জলের ফোয়ারা।
⏰নিশাত গার্ডেনে যাওয়ার সেরা সময়:
শরৎ এবং বসন্ত ঋতু (সেপ্টেম্বর-অক্টোবর এবং ফেব্রুয়ারীর শেষ থেকে এপ্রিলের মাঝামাঝি পর্যন্ত)। চিনার গাছগুলির রং সবুজ থেকে কমলা এবং পরে হলুদে পরিবর্তন হয়, যা বাগানকে আরও সুন্দর করে তোলে।
প্রত্যেকটি বাগানে ঘোরার জন্যে অন্ততঃ দুঘন্টা সময় ও কম মনে হবে। আপনি চোখ বন্ধ করেও ক্যামেরাই ক্লিক করতে থাকুন, সব ছবিগুলোই মনে হবে এক একটা wallpaper..প্রত্যেকটি বাগানে প্রবেশের জন্য সামান্য এন্ট্রি fees দিতে হয়। ওখানে খাবারের স্টল থেকে ক্যামেরা ও মোবাইলের পার্টস, ব্যাটারি সবই পাওয়া যায়। পুরো শ্রীনগর শহর ঘুরতে গাড়িভাড়া মোটামুটি 2500 থেকে 3000 এর মধ্যেই।
আমার তো মনে হয় প্রত্যেক ভ্রমণপ্রিয় মানুষের কমপক্ষে একবার এই গার্ডেনগুলি ঘুরে আসা উচিত। আমার তোলা কয়েকটি ছবি রইলো আপনাদের জন্যে।